ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একে একে ঘুমন্ত ৭ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়
চাঁদপুরের হাইমচরে সাত খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আকাশ মণ্ডল (ওরফে ইরফান) হত্যাকাণ্ডের পেছনে নিজের ক্ষোভকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জাহাজের মাস্টারকে হত্যা করার পর, ভয় পান যে, অন্যরা তাকে ধরতে পারে, তাই তাদেরও হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। তবে, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের পর এই বিষয়গুলো সামনে এসেছে। র্যাবের পক্ষ থেকে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা নগরের শাকতলা এলাকায় র্যাব-১১-এর সিপিসি-২ কুমিল্লা কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই ঘটনায় বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়। র্যাব-১১-এর উপ–অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, এমভি আল-বাখেরা জাহাজের মাস্টারের প্রতি আকাশের ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ ছিল নিয়মিত বেতন-ভাতা ও ছুটি না পাওয়া। সেই ক্ষোভ থেকেই, খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আকাশ প্রথমে মাস্টারকে হত্যা করেন। এরপর, তিনি মনে করেন যে, অন্যরা বেঁচে থাকলে তিনি ধরা পড়তে পারেন। তাই তিনি জাহাজের বাকি সাতজনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং তাদের উপর আঘাত করেন। তবে একজন ব্যক্তি বেঁচে যান।
এই হত্যাকাণ্ডটি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালের মুখে নোঙর করা জাহাজে ঘটেছিল। র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১১ ও র্যাব-৬ যৌথ অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে আকাশকে বাগেরহাটের চিতলমারি থেকে গ্রেপ্তার করে। আকাশ বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকার জগদীশ মণ্ডলের ছেলে এবং তিনি প্রায় ৮ মাস ধরে জাহাজটিতে লস্কর পদে কর্মরত ছিলেন।
Comments
Post a Comment