ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন সৌদি যুবরাজ।

 ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন সৌদি যুবরাজ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানফাইল চিত্র: এএফপি


সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব গ্রহণ করায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টেলিফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

সৌদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এবং মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়েছে।

আলোচনার সময় মোহাম্মদ বিন সালমান ট্রাম্পকে জানান, আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রে সৌদির বিনিয়োগের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়াও তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়েও আলোকপাত করেন।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় সৌদি বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

যুবরাজ মোহাম্মদ জানিয়েছেন, ট্রাম্পের শাসনামলে আসন্ন চার বছরে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে।

ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ট্রাম্প প্রথমবার প্রেসিডেন্ট থাকার সময় সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৭ সালে ট্রাম্প তাঁর প্রথম বিদেশ সফর করেন সৌদি আরবে। সেখানে সৌদি সরকার তাঁকে অত্যন্ত উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। সেই সফরে তরবারি নিয়ে ট্রাম্পের নাচ বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছিল।

২০১৯ সালে সৌদি আরবে এক হামলার ঘটনা ঘটে, যার জন্য ইরানকে দায়ী করে সৌদি সরকার। ওই হামলার পর সৌদির অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। এ ঘটনায় ট্রাম্প যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে যুবরাজ অভিযোগ তোলেন। এতে ওয়াশিংটন ও রিয়াদের সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়ে।

তবুও, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেও তাঁর জামাতা জেরার্ড কুশনারের ইক্যুইটি প্রতিষ্ঠান সৌদি আরব থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ লাভ করে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিলেন। বিশেষ করে ২০১৮ সালে তুরস্কে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডে সৌদি সরকারের সম্পৃক্ততা নিয়ে তীব্র নিন্দা জানান বাইডেন।



Comments